মামলার হুমকি ঘড়িবালকের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
পৃথিবীজোড়া খ্যাত ঘড়িবালক হিসেবে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস রাজ্যের কিশোর আহমেদ মোহামেদ ভিন্নধর্মী ঘড়ি বানিয়ে হয়রানির স্বীকার হওয়ায় ক্ষুদ্ধ হয়ে দেড় কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়েছে তার পরিবার। একই সঙ্গে আর্ভিং নগরের মেয়র ও পুলিশ প্রধানকে লিখিত ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে ক্ষতিপূরণ ও ক্ষমা চাওয়া না হলে মামলা দায়ের করা হবে বলে আহমেদের আইনজীবী জানিয়েছেন।
সোমবার ক্ষতিপূরণ চেয়ে আর্ভিং নগর কর্তৃপক্ষ এবং ম্যাকআর্থার স্কুলে আলাদাভাবে চিঠি পাঠিয়েছেন আহমেদ পরিবারের আইনজীবীরা। ওই চিটিতে দেড় কোটি ডলারের ক্ষতিপূরণের মধ্যে এক কোটি ডলার টেক্সাসের আর্ভিং শহর কর্তৃপক্ষের কাছে এবং বাকি পঞ্চাশ লাখ ডলার আহমেদের স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে চাওয়া হয়েছে।
সেপ্টেম্বরে বাড়িতে তৈরি করা একটি ডিজিটাল ঘড়ি শিক্ষকদের দেখাতে নিয়ে যান ম্যাকআর্থার স্কুলের নবম গ্রেডের শিক্ষার্থী আহমেদ। স্কুল শিক্ষকরা তার ঘড়িটিকে বোমা ভেবে পুলিশে খবর দেয়। ঘণ্টা খানেকের মধ্যে পুলিশ তাকে আটক করে। পরে আহমেদের তৈরি ঘড়িটি যে বোমা নয় তা নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রকাশ্যে অসদাচরণের ঘটনা আহমেদের খ্যাতিকে স্থায়ীভাবে ক্ষতি করেছে। সারাজীবনই তাকে এটি বহন করতে হবে। আর এ জন্যই আর্থিক ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে।
ঘড়িকাণ্ডে কিশোর আহমেদ রাতারাতি তারকা বনে যান। ওই ঘটনার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা টুইটার বার্তায় `কুল ক্লক` হিসেবে অভিহিত করে আহমেদকে হোয়াইট হাউজে আমন্ত্রণ জানান।
একই সঙ্গে মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার পক্ষ থেকেও আমন্ত্রণ পান আহমেদ। এছাড়া জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গও সবাইকে আহমেদের পাশে দাড়াতে বলেন।
ঘড়িবালক আহমেদ বর্তমানে পরিবারসহ কাতারে বসবাস করছেন। কাতার ফাউন্ডেশনের দেয়া শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ক মেধাবৃত্তি নিয়ে সেখানেই পড়াশোনা করছেন তিনি। এই ফাউন্ডেশন আহমেদকে মাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যন্ত পূর্ণ মেধাবৃত্তি দিয়েছে।
খবরঃ দ্য হিন্দুর।
প্রতিক্ষণ/এডি/জেডএমলি